Friday, December 22, 2017


প্রতারক চেনার উপায়

 
 
মানুষ প্রতারণা করে থাকে সাধারণত কোন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কিংবা কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে। স্বার্থ বলতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বার্থ, মান-মর্যাদা ও প্রতিপত্তি লাভের স্বার্থ কিংবা ক্ষমতা লাভের স্বার্থ। আর কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্য বা প্রতিহিংসাটা ব্যক্তিগত স্বার্থহানির জন্যও হতে পারে; আবার ধর্মীয়, জাতিগত বা রাজনৈতিক কারণেও হতে পারে। তবে যে উদ্দেশ্যেই হোক না কেন, প্রতারকদের কিছু কমন আচরণগত আলামত ও বৈশিষ্ট্য থাকে; যা চেনা থাকলে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, আর্থিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় যেকোন পর্যায়েই প্রতারণা থেকে বেঁচে থাকা যাবে। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অর্থ হারানো থেকেও বাঁচা যাবে, দ্বীন হারানো থেকেও বাঁচা যাবে, কারো প্ররোচনায় কোন নিরপরাধ আপনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পরে অনুতপ্ত হওয়ার আশংকা থেকেও নিরাপদ থাকা যাবে এবং সর্বোপরি নিজের ও পরিবারের শরীর ও জীবনের ক্ষতিও এড়ানো যাবে।
(১) বেশি কথা বলা
(২) নিজের সততা ও সত্যবাদিতা জাহির করা
(৩) বেশি বেশি শপথ করা
(৪) অস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থবোধক কথাবার্তা
(৫) নিজের দু:খের কথা বলে মানুষের কাছে সহানুভূতি আদায় করা
(৬) অন্যের দু:খে হা-হুতাশ ও বিলাপ জুড়ে কৃত্রিম সহানুভূতি প্রকাশ করা
(৭) উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা ও মনগড়া ফতোয়া প্রদান
(৬) উদ্দেশ্য প্রকাশে মিথ্যাচার
(৭) মনগড়া তত্ত্বের প্রচার
(৮) সত্য গোপন ও সত্যের বিপরীত তথ্য প্রকাশ
(৯) মন্দ কাজে ভাল উদ্দেশ্য দাবি করা
(৮) দ্বিমুখী ভূমিকা ও আচরণ
(৭) নিজের সন্তানের চেয়ে অন্যদের কিংবা বাচ্চাদের চেয়ে বড়দের প্রতি বেশি দরদী হওয়া
(৮) স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে ইচ্ছাকৃতভাবে একেক সময় একেক রকম আচরণ করা
(৯) সামনে ও পিছনে দুই রকম হওয়া
(৯) মানুষের উপকারের চেয়ে মানুষকে পটানোর কাজে বেশি মনোযোগী হওয়া
(১০) উপকারের বিনিময়ে থাকার ও ঘাঁটি গাড়ার সুযোগ অন্বেষণ করা অথবা কোন স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা আদায় করা
(১১) বার বার ক্ষমা চাওয়া
(১২) বিশ্বাসের ব্লাকমেইল
(১২) মানুষের অক্ষমতার সুযোগ নিয়ে দোষারোপ করা
(১২) পরিবারের ক্ষেত্রে কর্তাব্যক্তিদের সাথে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা
(১৩) মানবসৃষ্ট দুর্যোগকে আল্লাহর ইচ্ছা বলে হালকা করার প্রবণতা

(১) ব্যবসায়ী, ডাক্তার, রাজনীতিবিদ যাদেরকেই প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত বকবক করতে দেখবেন, তাদের থেকে দূরে থাকবেন। যারা সত্যিকার কাজের, তারা শুধু সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য যতটুকু কথা বলা প্রয়োজন ততটুকুই বলবে। বড়জোর ধর্ম ও দেশ নিয়ে কিংবা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কুশলাদি নিয়ে কিছু কথাবার্তা ও খোঁজখবর নিতে পারে। কিন্তু কাউকে যদি দেখেন আগ বাড়িয়ে যেচে শুধু ক্রেতা ও সার্ভিস গ্রহীতার প্রতি অনাবশ্যক তোষামোদ ও গুণকীর্তন করছে, কিংবা নিজের ব্যবসায়িক ও পারিবারিক সুনাম ও সততা নিয়ে গল্প জুড়ে দিচ্ছে বা অন্যদের বদনাম ও গোষ্ঠী উদ্ধার করছে, তাহলে বুঝবেন something is wrong। এমন লোকের খপ্পরে পড়লে আর কিছু খোয়ানোর আগে যত তাড়াতাড়ি পারা যায় কেটে পড়ুন।

(২) যারা নিজেদেরকে সৎ, নীতিবান ও সরলমতি হিসেবে প্রচার করে, বাস্তবে তারাই সর্বাপেক্ষা অধিক মিথ্যাবাদী, কুচক্রী ও কুটনী হয়ে থাকে। এর ব্যতিক্রম কেউ দেখে থাকলে জানাবেন। "আমি মিথ্যা সহ্য করতে পারি না; আমি সরল ও সাদা মনের মানুষ, কোন প্যাঁচগোছ বুঝি না; আমি পিছনে কারো বদনাম করি না, প্রয়োজনে শুধু সামনে দু'-চারটা ধমক দেই; আমি নম্র-ভদ্র মানুষ, কোনদিন কারো সাথে দুর্ব্যবহার ও গালিগালাজ করিনি; হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা, অল্পতে মানুষের দোষ ধরা এসব প্রবণতা আমাদের মাঝে নেই"- এসব যারা দাবি করে, বুঝবেন তাদের মাঝেই ঘাপলা বেশি।

“ডেল কার্নেগীর স্মরণীয় ২৫টি উক্তি”


(১) যার কথার চেয়ে কাজের পরিমান বেশী, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়,কারন যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়ার শব্দ ততো কম।
(২) মনে রাখবেন,
আপনি কে বা আপনার কি
আছে তার উপর আপনার
সুখ নির্ভর করেনা,
আপনার সুখ নির্ভর
করে আপনি কেমন চিন্তা করেন তার
উপর।
(৩) যা আপনাকে পীড়া দেয়, এমন বিষয় নিয়ে এক মিনিটের বেশি ভাববেন না।
(৪) মানুষের গুণ নিয়ে প্রতিযোগিতা করুন দোষ নিয়ে নয়।
(৫) মনে রাখবেন আজকের দিনটি গতকাল আপনার কাছে আগামীকাল ছিল। যেটার কথা ভেবে গতকাল আপনি চিন্তিত ছিলেন আজ নয়।
(৬) আপনি ভাল মানুষ হলেই পুরো জগৎবাসী আপনার সঙ্গে ভাল
ব্যবহার করবে এমনটা আশা করা ঠিক
নয়।
আপনি নিরামিষভোজী হলে কি কোন
ষাঁড় আপনাকে তাড়া করবে না?"
(৭) অস্পষ্টতায় ভরা দুরের কিছুর চেয়ে কাছের স্পষ্ট কিছু দেখাই আমাদের দরকার।
(৮) কি কাজ করতে চলেছেন সে সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকার অর্থ,আপনি অন্ধকারের যাত্রী কোন অন্ধের মত।
(৯) মন্দ সহচর্যের চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক ভালো।
(১০) মানুষ যখন রাগান্বিত
অবস্থায়,তখন
তাকে কোনভাবে বিরক্ত
করা উচিত নয় ।
কেননা তা থেকে চরম ভুল
বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতে পারে।
(১১) পৃথিবীতে ভালবাসার একটি মাত্র ঊপায় আছে,
সেটা হল প্রতিদান পাওয়ার আশা না করে শুধু
ভালবেসে যাওয়া।
(১২) মনে রাখবেন অন্যায় সমালোচনা অনেক ক্ষেত্রেই আড়াল করা প্রশংসাই: মনে রাখবেন মরা কুকুরকে কেউ লাথি মারেনা।
(১৩) দুশ্চিন্তা দূর করার এক নম্বর উপায় হল- ব্যস্ত থাকা।
(১৪) আমি চাইতাম বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতো সফল হতে; এর জন্য আমি অনেক পরিশ্রমও করেছি কিন্তু আমি কোনভাবেই সফল হইনি,অবশেষে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম- অন্যের মতো নয়- বরং আমি হবো আমার মতো।
(১৫) অনুকরন নয়, অনুসরন নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন।
(১৬) আমরা যখন আমাদের কর্তব্য - কর্মে অবহেলা দেখাই, কোন দায়িত্বকে নিষ্ঠার সঙ্গে গ্রহন করিনা, তখনই অকৃতকার্যতা আসে।
(১৭) ভদ্র আচরন করতে শিক্ষা লাগে, অভদ্র আচরন করতে অজ্ঞতাই যথেষ্ট।
(১৮) সাফল্য হল আপনি যা চান তা হাসিল করা। আনন্দ হল আপনি যা চান তা পাওয়া।
(১৯) দাম্পত্য জীবনে সুখি হতে চাও?তাহলে-পরস্পরকে অবিশ্বাস করবেনা আর ঘ্যানর ঘ্যানর করবে না।
(২০) একটি সুন্দর মুখের কুৎসিত কথার চেয়ে, একটি কুৎসিত মুখের মধুর কথা অধিকতর শ্রেয়।
(২১) যে স্ত্রীরা স্বামীকে সুখী করতে পারেন, তারা নিজেরাও তারি সঙ্গে সুখী হন। তারা অতি সহজেই বলতে পারেন যে স্বামীর সহযোগিতায় আমাদের জীবন কানায় কানায় পূর্ণ।
(২২) মনে রাখা প্রয়োজন যে, একজন হতাশা গ্রস্থ মানুষের চেয়ে একজন সুখী মানুষ হাজার গুন বেশী কর্মক্ষম।
(২৩) যে অবস্হায়ই পড়ুন না কেন- অবস্থার ভালো মন্দ না দেখে বিচার করা উচিত নয়।
(২৪) সব সময়-ই অপর ব্যাক্তিকে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব উপলব্ধি করার সুযোগ দিন
(২৫) যিনি নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন তিনিই সফলতা লাভ করেছেন।

Wednesday, December 20, 2017

আপনি জানেন  কি? পৃথিবীতে ২৪ ঘন্টাই আজান তথা আল্লাহ্পাক এর নাম উচ্চারিত হচ্ছে। জানতে হলে এই পোস্টটা পড়ুন।প্রতি মূহুর্ত্যে পৃথিবীতে আল্লাহর নাম ইথারে ভেসে বেড়ায়।



মুয়াযযিন উচ্চৈঃস্বরে দাঁড়ায়ে মিনার ‘পরে
কি সুধা ছড়িয়ে দেয় উষার আযানে!
জাগাইতে মোহমুদ্ধ মানব সন্তানে।
আহা কি মধুর ওই আযানের ধ্বনি।
মর্মে মর্মে সেই সুর বাজিল কি সমধুর
আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী।… কায়কোবাদ।

হ্যাঁ এই আযানকে নিয়ে আমার আজকের এই পোস্ট। কবি কায়কোবাদের মত করে আমি কখনো আযান শুনি নাই, বা আযান নিয়ে কখনো ভাবি নাই। আযান আমার কাছে দিনে আরো ১০টি নিত্য ঘটে যাওয়া বিষয়ের মত লাগলতো।

কিন্তু আযান যে, দিন-দুনিয়ার ভুলে যাওয়া মানূষকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, হে মানুষ আস, এই দুনিয়ার কাজের ফাঁকে ফাঁকে অল্প কিছু সময় ব্যয় কর-সেই আল্লাহ নামে, যিনি তোমাকে এক শুণ্য থেকে একদিন সৃষ্টি করেছিলেন।

আর এই আহ্বান প্রতিমুহুর্ত্যে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও মুয়াজ্জিন স্মরন করিয়ে দিয়ে চলছেন নিরবদি, তা সে ভাবে কখন মনে হয় নাই।

এ যেন শুধু আযান নয়, যেন তৌহিদের এক তরংগ~ পৃথিবীর পূর্ব প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে —তা ক্রমাগত– বিরামহীন ভাবে– পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। এই আহ্বান ক্রমাগত চক্রাকারে বহে চলছে, আর তা ক্রমাগত বিস্তৃর্ন হচ্ছে। আর পৃথিবী বাসিকে আহ্বান জানাচ্ছে- আসো কল্যাণের পথে—আসো শান্তির পথে.।

স্বাভাবিক ভাবে মুয়াজ্জিন যখন আযান করেন তখন প্রতি আযানে ৪ মিনিট সময় ব্যয় হয়ে থাকে।

আপনারা জানেন যে আমাদের এই পৃথিবীকে ৩৬০ দ্রাঘিমাংশ তে ভাগ করা হয়েছে, এবং ১ ভাগ থেকে আরেক ভাগের সময়ের ব্যবধান ৪ মিনিট।

আর এই আযান শুরু হয় ১ দ্রাঘিমাংশ এলাকা থেকে,
দ্রাঘিমাংশ এলাকার আযান শেষ হলে পর ২ দ্রাঘিমাংশ এলাকায় আযান শুরু হয়, আর এভাবে ক্রমান্নে আযান এক দ্রাঘিমাংশ এলাকা থেকে আরেক দ্রাঘিমাংশ এলাকায় চলে চলে। ৩৬০ দ্রাঘিমাংশ পুর্ণ করে।

এইটি সোজা এক গানিতিক হিসাব করে দেখুন-
৪x৩৬০(দ্রাঘিমাংশ) = ১৪৪০ মিনিট
১৪৪০ মিনিট /৬০ মিনিট= ২৪ ঘন্টা।
তার মানে আযানের আহ্বান এই দুনিয়ায় কখনো বন্ধ হয়না।

এবার ভৌগলিক ভাবে এক নজর দেখে নেই-
পৃথিবীর মানচিত্রে সবচেয়ে পূর্ব প্রান্তের মুসলিম দেশ হলো ইন্দোনেশিয়া । এ দেশের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে সাবিল, জাভা, সুমাত্রা, বর্নিয়া । রাতের অন্ধকার কেটে গেলে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রভাতের আগমনকে স্বাগত জানাতে সাবিল থেকে শুরু হয় হাজার হাজার ইন্দোনেশীয় মোআজ্জিনদের কন্ঠের সুমধুর আজানের প্রতিধ্বনি। ফজরের আজানের এই প্রক্রিয়া ক্রমেই এগিয়ে চলে পশ্চিমের দিকে।
সাবিলের আজান শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘন্টা পরই জাকার্তায় প্রতিধ্বনিত হয় আজানের সুর। এর পরই সুমাত্রায় শুরু হয় আজানের এই পবিত্র প্রক্রিয়া, ইন্দোনেশিয়ার পরিসরে শেষ হওয়ার পূর্বেই তা শুরু হয়ে যায় পরবর্তী মুসলিম দেশ মালয়শিয়ায় ।
বার্মার স্থান রয়েছে এর পরপরই, এবং জাকার্তায় শুরু হওয়ার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আজানের সুর পৌঁছে যায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। বাংলাদেশের পর আজানের জয়যাত্রা ধ্বনিত হয় পশ্চিম ভারতের বুকে, কলকাতা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত এবং তারপর এগিয়ে যায় বোম্বের দিকে । শ্রীনগর এবং শিয়ালকোট (পাকিস্তানের উত্তরের একটি শহর ) শহর দু’টিতে আজানের সময় একই সাথে শুরু হয়। শিয়ালকোট, কুয়েটা এবং করাচির মধ্যে সময়ের পার্থক্য চল্লিশ মিনিটের মত । তাই এ সময়ের মধ্যে সমগ্র পাকি¯তান জুড়ে শোনা যায় আজানের সুর। সেই সুর পাকিস্তানে মিলিয়ে যাবার আগেই আফগানিস্তান আর মাস্কাতে এর ঢেউ এসে লাগে। বাগদাদের সাথে মাস্কাতে সময়ের পার্থক্য এক ঘন্টার। আজানের আহ্বান প্রতিধ্বনিত হয় ‘হিযায-ই-মুকাদ্দাস’ (মক্কা ও মদিনার পবিত্র শহরসমূহ), ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাকের আকাশে- বাতাসে।
বাগদাদ এবং মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ার সময়ের পার্থক্যও এক ঘন্টা । তাই এ সময়ের মধ্যে সিরিয়া, মিশর, সোমালিয়া এবং সুদানে চলতে থাকে আজান। পূর্ব ও পশ্চিম তুরস্কের মধ্যে ব্যবধান দেড় ঘন্টার, এ সময়ের মাঝে সেখানে নামাজের আহ্বান শোনা যায়।
আলেকজান্দ্রিয়া এবং ত্রিপলি ( লিবিয়ার রাজধানি ) এক ঘন্টার ব্যবধানে অবস্থিত। একই ভাবে আজানের প্রক্রিয়া সমগ্র আফ্রিকা জুড়ে চলতে থাকে। তাওহিদ এবং রিসালাতের প্রচারের যে ধারা শুরু হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ায় তা এসে আটলান্টিক মহাসাগরের পূর্ব ঊপকূলে পৌছে সাড়ে নয় ঘন্টা পর। ফজরের আজানের বার্তা আটলান্টিকের ঊপকূলে পৌছাবার পূর্বে ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে যোহরের আজানের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় এবং ঢাকায় এটা পৌছানোর পূর্বে শুরু হয়ে যায় আছরের আজান। দেড় ঘন্টার মত সময় পেরিয়ে এ প্রক্রিয়া যখন জাকার্তায় পৌছে ততক্ষনে সেখানে মাগরিবের সময় হয়ে আসে, এবং মাগরিবের সময় সুমাত্রায় শেষ না হতেই সাবিলে এশার আজানের আহ্বান ভেসে আসে।
একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই আমাদের চোখে পড়বে আজানের অবাক করা দিকটি আর তা হলো পৃথিবীর বুকে প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও হাজার হাজার মোআজ্জিনের গলায় আজানের সুর ভেসে বেড়ায়। এমনকি আপনি যে মুহূর্তে এ অংশটি পড়ছেন , নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে ঠিক এই মুহূর্তেও এই পৃথিবীর কোথাও না কোথায় অন্তত হাজার খানেক মানুষ শুনতে পাচ্ছে আজানের সুর, মোআজ্জিনদের গলায়, আর এমনি করে সে আহ্বান ভেসে বেড়াচ্ছে ইথারে প্রতিটি মুহূর্তে ।

Wednesday, December 6, 2017


বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বি কে এস পি তে) ২০১৮ ব্যাচ এ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি 

ভর্তির ফি সমূহ
প্রশিক্ষণার্থীদের ফিস প্রদানের হার :
১. ভর্তি ফিস – ২০০০/- (দুই হাজার) টাকা (ভর্তি কালীন)
২. জামানত – ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা (ভর্তিকালীন ও
ফেরতযোগ্য)
৩. মেডিকেল ফিস – ৩০০/- (তিনশত) টাকা (বাৎসরিক)
৪. পরীক্ষার ফিস – ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা (বাৎসরিক)
৫. সেশন চার্জ – ১৫০০/- (এক হাজার পাঁচশত) টাকা (ভর্তির
পরবর্তী বছর থেকে চালু হবে)
৬. ম্যাগাজিন ফিস – ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা (বাৎসরিক)
৭. লাইব্রেরি ফিস – ১০/- (দশ) টাকা (বাৎসরিক)
৮. বেতন বই – ১০/- (দশ) টাকা (বাৎসরিক)
৯. বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ড ফিস – বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত।
কলেজ ফিস নির্ধারণ :
অভিভাবকের মাসিক মোট আয়ের উপর ভিত্তি করে নিম্নে ৩টি গ্রুপে বিভক্ত করে বেতন নির্ধারণ করা হয় :
১. ১ম ধাপ : আয় ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা পর্যন্ত সর্বনিম্ন মাসিক কলেজ ফিস ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা।
২. ২য় ধাপ : আয় ৫০০১-১৫০০০ টাকা পর্যন্ত সর্বনিম্ন মাসিক কলেজ ফিস আয়ের ১০%।
৩. ১ম ধাপ : আয় ১৫০০১/- (পনের হাজার) টাকার উর্ধ্বে হলে মাসিক কলেজ ফিস আয়ের ১০%, তবে সর্বোচ্চ কলেজ ফিস ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকার উর্ধ্বে নয়।

আপনি জানেন কি? পৃথিবীতে ২৪ ঘন্টাই আজান তথা আল্লাহ্পাক এর নাম উচ্চারিত হচ্ছে। জানতে হলে এই পোস্টটা

এবার প্রাইমারিতে ১০,০০০ শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

      Post Name: Pre Primary Assistant Teacher Total Post: 10,000 Last Date of Application: 30 August 2018